প্রারম্ভিক আলোচনা:

বিভিন্ন শৈবালের বৈশিষ্ট্য থেকে সাধারণত MCQ টাইপ প্রশ্ন গুলো আসে। কিছু ক্ষেত্রে তুলনা করে দেখানো হল চিন্তার সুবিধার জন্য। আর কিছু টার্মের সংক্ষিপ্ত কারণ পড়ে রাখলে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে মনে থাকতে পারে।

অধ্যায় সারবস্তু:

১. শৈবালের কোষ প্রাচীর সেলুলোজ ও পেকটিন দিয়ে গঠিত।

২. সঞ্চিত খাদ্য প্রধানত শর্করা জাতীয়। (Nostoc-এ যেমন সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজেন।)

৩. এর অঙ্গজ, অযৌন এবং যৌন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে। (Nostoc-এ যেমন অঙ্গজ ও অযৌন পদ্ধতিতে হয়।)

৪. শৈবালের জগত-এর নাম Protoctista।

৫. শৈবালে সর্পিলাকার ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে ও তাতে সুস্পষ্ট পাইরিনয়েড থাকে। (পাইরিনয়েড দিয়ে শৈবাল পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে।)

৬. ভ্রূণ উৎপন্ন হয় না।

৭. Spirogyra-এর কোষপ্রাচীর তিনস্তর বিশিষ্ট। (যেমনটা সায়ানোব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রেও।) ভেতরের দু’স্তর সেলুলোজ নির্মিত, বাইরের স্তর পেকটিন নির্মিত)

৮. শৈবাল ইউক্যারিওটিক, ব্যাকটেরিয়া থেকে উন্নত। এতে মাইটোকন্ড্রিয়া, গলগি বডি ইত্যাদি অঙ্গাণু থাকে।

৯. শৈবাল তিন প্রক্রিয়ায় বংশবিস্তার করে থাকে:

ক. অঙ্গজ

খ. যৌন

গ. অপুংজনি (স্পোর সৃষ্টি করে)

১০. অনুকূল পরিবেশে অঙ্গজ পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে। (কারণ এটিই শৈবালের জন্য সুবিধাজনক)

১১. পুংগ্যামিট সংশ্লেষ নালী দিয়ে গিয়ে স্ত্রীগ্যামিট-এর সাথে মিলিত হয়। পুংগ্যামিট সক্রিয়, স্ত্রীগ্যামিট নিষ্ক্রিয়।

১২. Spirogyra jogensis প্রজাতিতে প্রত্যক্ষ পার্শ্বীয় সংশ্লেষ ঘটে।

১৩. জাইগোস্পোরের তিনটি স্তর সেলুলোজ নির্মিত। (যেখানে সাধারণত ভেতরের দু’স্তর সেলুলোজ নির্মিত)

১৪. জননকোষে কনজুগেশন বা সংশ্লেষ না ঘটলে তা স্পোরে পরিণত হয়, যাকে অ্যাজাইগোস্পোর বলা হয়। (কারণ কনজুগেশন ঘটে নি)

একে পার্থেনোস্পোর বলা হয়। (পার্থেনোজেনেসিস বলতে বোঝায় যেখানে নিষেক ঘটে নি)। এটি হ্যাপ্লয়েড।

১৫. Spirogyra এর জীবন চক্রের দু’টি দশা আছে:

ক. গ্যামিটোফাইটিক বা হ্যাপ্লয়েড দশা

খ. স্পোরোফাইটিক বা ডিপ্লয়েড দশা

(শ্রেণিবিন্যাসের ব্রায়োফাইটা ও পটেরিডোফাইটার কথা মনে যেতে পারে, b আগে তাই g আগে, ওভাবে, গ্যামিটোফাইট হ্যাপ্লয়েড, স্পোরোফাইটিক ডিপ্লয়েড)

১৬. Spirogyra গ্যামিটোফাইটিক উদ্ভিদ। উদ্ভিদ যত উন্নত হবে তত এর গ্যামিটোফাইটিক অবস্থা ছোট হবে, আর স্পোরোফাইটিক অবস্থা লম্বা হবে। শৈবাল একেবারে অনুন্নত উদ্ভিদ, তাই জীবনের বেশিরভাগ সময় এটি গ্যামিটোফাইটিক বা হ্যাপ্লয়েড অবস্থায় থাকে।

১৭. Spirogyra তে প্রচুর ভিটামিন A এবং E থাকে।

১৮. প্রোটকটিস্টা জগতের চারটা ফাইলাম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে:

ক. ক্লোরোফাইটা,

খ. ফিওফাইটা,

গ. রোডোফাইটা এবং

ঘ. ব্যাসিলারিওফাইটা।

(এই চারটি জগতের মধ্যে তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য থেকে মাঝে মাঝে প্রশ্ন আসে)

বৈশিষ্ট্য

Cholorophyta

(সবুজ শৈবাল)

Bacillariophyta

(হলুদ-সোনালি শৈবাল)

Rhodophyta

(Rhodo=rose)

(লোহিত শৈবাল)

Phaeophyta

(বাদামি শৈবাল)

বর্ণ

সবুজ

হলুদ বা ঈষৎ পিঙ্গল

লোহিত

বাদামি

প্রধান

ক্রোমাটোফোর

ক্লোরোফিল

অনেক প্রকার

r-ফাইকোইরিথ্রিন (ইরাইথ্রোসাইট বা লোহিত কণিকা নামের সাথে মিল রয়েছে),

r-ফাইকোসায়ানিন (সায়ানো ব্যাকটেরিয়াতে পাওয়া নীল কণিকা)

ফিউকোজ্যান্হিন (ফিওফাইটা-এর জ্যান্থিন=ফিউকোজ্যান্থিন)

সঞ্ছিত খ্যাদ্য

স্টার্চ

চর্বি,ভলিউটিন ও লিউকোসিন।

ফ্লোরোডিয়ান স্টার্চ ও ফ্লোরিডমাইড

ল্যামিন্যারিন

জনন

অঙ্গজ,যৌন ও অযৌন

Auxospore দিয়ে অযৌন জনন এবং Conjugation প্রক্রিয়ায় যৌন জনন

যৌন ও অযৌন

অঙ্গজ ও যৌন

গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ

Spirogyra

Navicula

(নৌকার মত দেখতে বলে Navi শব্দটার সাথে মিলিয়ে নাম)

Polysiphonia

(সাইফন অর্থ টিউব, দেখতে পাশাপাশি অনেক গুলো লাল টিউবের মত)

Sargassum

(Sargossa Sea থেকে প্রচুর পাওয়া যায়)

১৯. পলিসাইফোনিয়া ব্রোমিনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (এদের কিউটিকলে ব্রোমিন থাকে)

২০. ব্যাসিলারিওফাইটার অপর নাম ডায়াটম। প্রতিটি ডায়াটম কোষকে ফ্রুস্টিউল বলা হয়। (সিলিকা (বালু)-এর তৈরি শক্ত ছিদ্রযুক্ত খোল)

২১. Navicula-এর বাইরের দিকের বড় কপাটিকা ভিতরের ছোট কপাটিকাকে ঘিরে রাখে। উপরে ঘিরে রাখে বলে “এপি”+থিকা, আর নিচে ভেতরে থাকে বলে নাম “হাইপো”+থিকা বলা হয় কপাটিকা দু’টোকে।

২২, Navicula-এর সঞ্চিত খাদ্য ভলিউটিন ও চর্বি।

২৩. ফিওফাইটায় বায়ু কুঠুরি থাকে। এর জন্য পানিতে ভাসমান থাকতে পারে।