প্রারম্ভিক আলোচনা:

উদ্ভিদের জৈবনিক প্রক্রিয়া অধ্যায়টি গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভালোমত পড়তে হবে।

 

অধ্যায় সারবস্তু:

১. প্রোটোপ্লাজমের ৯০% পানি।

২. পানির অণূর পরস্পর এঁটে থাকাকে বলা হয় কোহেসন বা সংযুক্তি।

আর পানির অণুর অন্য শক্ত পদার্থের গায়ে লেগে থাকাকে অ্যাডহেসন বা সংলগ্নতা বলে।

৩. মূলরোম পানি শোষণের মুখ্য অঙ্গ

৪. নিষ্ক্রিয় পরিশোষণে কোন শক্তি (ATP) খরচ হয় না, পানি বেশি পরিশোষিত হয়, কিন্তু সক্রিয় পরিশোষণে ATP খরচ হয়, পানিও কম পরিশোষিত হয়।

৫. কলয়েড জাতীয় পদার্থ যে প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে তাকে ইমবাইবিশন বলে।

৬. শুষ্কবীজ ইমবাইবিশন প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে অঙ্কুরোদগমের উপযোগী হয়।

৭. অভিস্রবণ এক প্রকার ব্যাপন। এতে তরল পদার্থের ব্যাপন ঘটে। পাতলা দ্রবণে দ্রাবক তরল বেশি থাকে এবং ঘন দ্রবণে দ্রাবক তরল কম থাকে। অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় পাতলা দ্রবণে থাকা অতিরিক্ত তরল ঘন দ্রবনের দিকে ব্যাপৃত হয়। এই ব্যাপনকেই বিশেষ রূপে অভিস্রবণ বলা হয়।

৮. বহিঃঅভিস্রবণ প্রক্রিয়ার জন্য প্লাজমোলাইসিস ঘটে। (বহিঃঅভিস্রবণে কোষ থেকে পানি বাইরে অভিস্রবিত হয়, তাই কোষের ভেতরটা সংকুচিত হয়)

৯. হাইপারটনিক ও হাইপোটনিক: হাইপার মানে বেশি আর হাইপো মানে কম।

কোন দ্রবণের ঘনত্ব যদি কোষরসের ঘনত্বের বেশি বা হাইপার হয়, তবে ওই দ্রবণ হাইপারটনিক।

কোন দ্রবণের ঘনত্ব যদি কোষরসের ঘনত্বের কম বা হাইপো হয়, তবে ওই দ্রবণকে হাইপোটনিক বলে।

১০. উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজন = ১৭টি মৌলিক উপাদান

১১. ১৭ টি মৌলিক উপাদানের মধ্যে ৯ টি বৃহৎ পুষ্টি উপাদান (ম্যাক্রো নিউট্রিয়েন্টস) এবং ৮টি হল ক্ষুদ্রতর পুষ্টি উপাদান (মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস)

১২. সাইটোক্রোম পাম্প বা লুন্ডিগড় মতবাদ অনুসারে অ্যানায়ন সক্রিয়ভাবে পরিশোষিত হয়, ক্যাটায়ন নিষ্ক্রিয়ভাবে পরিশোষিত হয়। (এভাবে মনে রাখা যেতে পারে, অ্যানায়ন = এনার্জি, ক্যাটায়ন = ক্যাট = নিষ্ক্রিয়)

১৩. প্রস্বেদন প্রধানত পাতায়, এছাড়া কিউটিকল, লেন্টিসেলের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়।

১৪. ক্লোরোফিল “a” ৬৭৩ nm তরঙ্গ দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট এবং ক্লোরোফিল “b” ৬৮৩ nm তরঙ্গ দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট আলো শোষণ করে।

১৫. বেগুনি রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, ৩৯০-৪৩০ nm ।

১৬. লাল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, ৬৫০-৭৬০ nm ।

১৭. ফটোসিস্টেম-১ এ P700 থাকে, আর ফটোসিস্টেম-২ এ P680 থাকে।

১৮. চক্রীয় ও অচক্রীয় ফটোফসফোরাইলেশন:

বিষয়

চক্রীয়

অচক্রীয়

পানির প্রয়োজন ও পানি থেকে অক্সিজেন উৎপাদন

হয় না

হয়

যেসব ফটোসিস্টেম অংশগ্রহণ করে

শুধু ফটোসিস্টেম-১

উভয় ফটোসিস্টেম (১ ও ২)

১৯. ক্যালভিন চক্র = C3 চক্র

হ্যাচ ও স্ন্যাক চক্র = C4 চক্র

২০. C3 চক্রে প্রথম স্থায়ী যৌগ হল ৩-ফসফোগ্লিসারিক অ্যাসিড, যার তিন কার্বন বিশিষ্ট।

২১. C4 চক্রে প্রথম স্থায়ী যৌগ হল অক্সালো অ্যাসিটিক অ্যাসিড, যার চার কার্বন বিশিষ্ট।

২২. C4 উদ্ভিদে C3 চক্রও পাশাপাশি চলে। বান্ডল সিথ কোষে C3 চক্র চলতে থাকে।

২৩. C3 উদ্ভিদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শীত প্রধান অঞ্চলের, C4 উদ্ভিদ প্রধানত উষ্ণমণ্ডল অঞ্চলের।

২৪. সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নির্গত অক্সিজেনের উৎস পানি।

২৫.সালোকসংশ্লেষণের সবচেয়ে উপযুক্ত তাপমাত্রা ২২°সে. থেকে ৩৫°সে. পর্যন্ত।

২৬. শ্বসনের প্রাথমিক ধাপ সাইটোপ্লাজমে ঘটে, দ্বিতীয় পর্যায় মাইটোকন্ড্রিয়াতে ঘটে।

২৭. গ্লাইকোলাইসিস-এর ফলে এক অণু গ্লুকোজ থেকে দুই অণূ পাইরুভিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়।

২৮. ক্রেবস চক্রের অপর নাম সাইট্রিক অ্যাসিড চক্র, ট্রাই কার্বক্সিলিক অ্যাসিড চক্র বা TCA চক্র। এই চক্রের মাধ্যমে পাইরুভিক অ্যাসিডের সবাত জারণ ঘটে।

২৯. এক অণু গ্লুকোজ থেকে সবাত শ্বসনের ফলে ৩৮ টি ATP উৎপন্ন হয়।

৩০. অবাত শ্বসনের ফলে পাইরুভিক অ্যাসিড থেকে ইথাইল অ্যালকোহল অথবা ল্যাকটিক অ্যাসিড সৃষ্টি হয়।

৩১. দৌড়বিদদের মাংসপেশীর কোষে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমা হয়, কারণ সবাত শ্বসনের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব ঘটে।

৩২. অবাত শ্বসনে ৩৮ টি ATP এর জায়গায় মাত্র ২ টি ATP উৎপন্ন হয়।