বিষয়াবলী

 

বাজার
বাজারজাতকরণের দৃষ্টিকোণ থেকে বাজার হচ্ছে কোন পণ্য বা সেবার বর্তমান ও সম্ভাব্য ক্রেতার বিন্যাস বা সমষ্টি।

 

বাজারের শ্রেণীবিভাগ :

ভৌগোলিক এলাকার ভিত্তিতে

১. স্থানীয় বাজার
২. জাতীয় বাজার
৩. আন্তর্জাতিক বাজার

প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে

১. প্রতিযোগিতামূলক বাজার
২. একচেটিয়া বাজার

বিক্রেতার অবস্থানভেদে

১. প্রাথমিক বাজার
২. দ্বিতীয় পর্যায়ের বাজার
৩. কেন্দ্রীয় বাজার

পুঁজির ভিত্তিতে

১. মূলধন বাজার
২. মুদ্রা বাজার
৩. বৈদেশিক মুদ্রা বাজার
৪. সেবাকার্যার বাজার

লেনদেনের ভিত্তিতে

১. নগদ বাজার
২. ভবিষ্যত বাজার

বাজার সংঘটিত হবার ভিত্তিতে

১. সংগঠিত পণ্য বাজার
২. শেয়ার বাজার

ক্রয় পরিমাণের ভিত্তিতে

১. সংগঠিত পণ্য বাজার
২. শেয়ার বাজার

 

বাজারজাতকরণ
প্রকৃতপক্ষে বাজারজাতকরণ হচ্ছে একটি সামাজিক ও ব্যবস্থাপকীয় প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্যের জন্য পণ্য সংগ্রহ, ভ্যালু সৃষ্টি ও বিনিময়ের মাধ্যমে তার নিজ উদ্দেশ্য সফল করে।

 

বাজারজাতকরণ হলো মুনাফার জন্য ক্রেতাকে সন্তুষ্ট করার প্রক্রিয়া।

 

বাজারজাতকরণ মতবাদ
১. উৎপাদন মতবাদ
২. পণ্য মতবাদ
৩. বিক্রয় মতবাদ
৪. বাজারজাতকরণ মতবাদ
৫. সামাজিক বাজারজাতকরণ মতবাদ

 

১. উৎপাদন মতবাদ :

  • উৎপাদন মতবাদ হচ্ছে বাজারজাতকরণের সবচেয়ে প্রাচীন মতবাদ
  • এই মতবাদের মূল বক্তব্য, মানুষ যে জিনিসের দাম কম এবং হাতের কাছে পাওয়া যায় তাই কিনবে
  • ব্যবস্থাপনার কাজ হচ্ছে- উৎপাদনের প্রতি নজর দেয়া ও দক্ষ বণ্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা

২. পণ্য মতবাদ

  • এই মতবাদের মূল বক্তব্য, সর্বোচ্চ মান, কার্যাকারিতা ও বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন পণ্য ক্রেতাদের পছন্দ
  • ব্যবস্থাপনার কাজ হচ্ছে- ক্রমাগত পণ্যমান উন্নয়ন

৩. বিক্রয় মতবাদ

  • এই মতবাদের মূল বক্তব্য, প্রতিষ্ঠান বেশি বেশি বিক্রয় প্রচেষ্টা ও প্রমোশনের ব্যবস্থাপনা দিলে ভোক্তা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বেশি ক্রয় করে
  • ব্যবস্থাপনার কাজ হচ্ছে- বিক্রয় পচেষ্টা ও প্রমোশনের ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন
  • অযাচিত পণ্য (বিশ্বকোষ, সমাধিস্থল) বাজারজাতকরণে এই মতবাদ জনপ্রিয়

৪. বাজারজাতকরণ মতবাদ

  • এই মতবাদের মূল বক্তব্য, প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন নির্ভর করে একটি নির্দিষ্ট বাজারে ভোক্তার প্রয়োজন এবং চাহিদা নিরূপণ এবং সে অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে দক্ষতার সাথে ভোক্তার আকাঙ্ক্ষিত বস্তু সরবরাহ করার উপর
  • ব্যবস্থাপনার কাজ হচ্ছে- ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যাশিত পণ্য সরবরাহ

৫. সামাজিক বাজারজাতকরণ মতবাদ

  • এই মতবাদের মূল বক্তব্য, ভোক্তার প্রয়োজন ও চাহিদা অনুধাবন করে সে অনুযায়ী পণ সরবরাহের মাধ্যমে ভোক্তার সন্তুষ্টি ও প্রাতিষ্ঠানিক মুনাফা নিশ্চিতকরণ এবং সামাজিক কল্যাণ সর্বাধিককরণ
  • ব্যবস্থাপনার কাজ হচ্ছে- ক্রেতা সন্তুষ্টি + সামাজিক কল্যাণ
  • বাজারজাতকরণের সর্বাধুনিক মতবাদ

 

বাজারজাতকরণের স্তর- ৩টি
১. উদ্যোগী বাজারজাতকরণ (Enterprencurial Marketing)
২. সূত্রবদ্ধ বাজারজাতকরণ (Formulated Marketing)
৩. সৃজনশীল বাজারজাতকরণ (Interpreneurial Marketing)

 

 

 

বাজারজাতকরণের মূল ধারণাসমূহ : ৫টি

বাজারজাতকরণের মূল ধারণাসমূহ

 

বাজারজাতকরণ মিশ্রণ : ৪ (৫) টি P এর সমষ্টি
১. Product
২. Price
৩. Place (Dirtibution)
৪. Promotion (Development)
৫. Packaging (5th P)

 

বাজারজাতকরণ মিশ্রণের এই 4P কে অনেকেই ভোক্তার দৃষ্টিকোণ থেকে 4C বলে উল্লেখ করেছেন :

4P (Producer’s Perspective)

4C (Consumer’s Perspective)

Product

Customer Solution

Price

Customer Cost

Place

Convenience

Promotion

Communication

 

 

বাজারজাতকরণের কার্যাবলি :

বাজারজাতকরণের কার্যাবলি

 

ক্রেতা

যিনি পণ্য বা সেবা ক্রয় করেন তাকেই ক্রেতা বলে।
ক্রেতা সাধারণত ৩ ধরনের উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয় করে
১. বিক্রয় করে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে
২. মুনাফা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে পরবর্তী উৎপাদনের কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে
৩. ব্যক্তিব বা পারিবারিক ভোগ বা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে

 

ভোক্তা

যিনি দ্রব্য ভোগ বা ব্যবহার করে দ্রব্যের উপযোগ নিঃশেষ করে থাকেন তাকে ভোক্তা বলে।
ভোক্তার সন্তুষ্টি বিধানের বিবেচ্য বিষয় :
১. চাহিদানুযায়ী পণ্য ও সেবা সরবরাহ
২. পণ্যের গুণগত উন্নয়ন
৩. পণ্যের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ
৪. প্রকৃতি অনুযায়ী পণ্য মোড়কীকরণ
৫. সময়মত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ
৬. পণ্য ক্রয়ের সিদ্ধান্তে সাহায্য করা ইত্যাদি

 

পণ্য

যে বস্তুর মধ্যে দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান গুণ থাকে যা মানুষের অভাব পূরণ বা সন্তুষ্টি বিধানে সমর্থ হয় এবং বিক্রেতা কর্তৃক বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তা বাড়তি উপযোগ সৃষ্টিসহ ক্রেতা সাধারণের উদ্দেশ্যে উপস্থাপিত হয় তাকে বলা হয় পণ্য।
পণ্যের বৈশিষ্ট্য- ৩টি
১. Core বা পণ্যের মূল বিক্রয় বা গুণ
২. Tangible বা পণ্যের বাহ্যিক অবয়ব
৩. Augmented Feature বা অন্তর্নিহিত গুণ
পণ্যের ৩টি বৈশিষ্ট্যের কথা প্রথম বলেন- Philip Kotler
পণ্য বিক্রয় আইন- ১৯৩০ সালের

 

পণ্যের শ্রেণীবিভাগ

পণ্যের শ্রেণীবিভাগ

 

বিভিন্ন প্রকার পণ্যের উদাহরণ :

 

পণ্যের শ্রেণী

উদাহরণ

সেবা পণ্য

টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন

আবশ্যক পণ্য

চাল, ডাল, কাগজ

জরুরি পণ্য

ঔষধ, খুচরা যন্ত্রাংশ, গাড়ির তৈল

সৌখিন পণ্য

অলংকার, দামি আসবাবপত্র, গিফট সামগ্রী

বিশিষ্ট পণ্য

মূল্যবান ক্যামেরা, আকর্ষণীয়/দামি কলম

লোভনীয় পণ্য

ম্যাগাজিন, খেলনা, ফুলদানি

 

প্রত্যেকটি বাজার এলাকায় মাত্র একটি বা কয়েকটি দোকানের মাধ্যমে সীমিত বণ্টন- বিশিষ্ট পণ্যের
জোরালো ব্র্যান্ড অগ্রাধিকার- বিশিষ্ট পণ্যের
পন্যের স্তর- ৫টি
১. অন্তরতম সুবিধা
২. মৌলিক পণ্য
৩. প্রত্যাশিত পণ্য
৪. বর্ধিত পণ্য
৫. সম্ভাব্য
পণ্যের সবচেয়ে মৌলিক স্তর হচ্ছে- অন্তরতম সুবিধা

 

পণ্য উন্নয়নের স্তর বা পদক্ষেপসমূহ- ৮টি

পণ্য উন্নয়নের স্তর বা পদক্ষেপসমূহ

 

পণ্যের জীবনচক্র :

 

ধাপ

বর্ণনা

১. পণ্য উন্নয়ন (Product Development)

কোম্পানি নতুন পণ্যের ধারণা খুঁজে পায়। এক্ষেত্রে অধিক পরিমাণে বিনিয়োগ হলেও বিক্রয়ের পরিমাণ শূণ্য থাকে।

২. সূচনা (Introduction)

নতুন পণ্য বাজারে ছাড়া হয়। এক্ষেত্রেও নতুন পণ্য বাজারে ছাড়ার ব্যয় বেশি থাকায় মুনাফার অস্তিত্ব থাকে না।

৩. প্রবৃদ্ধি (Growth)

এ সময় পণ্যটি বাজারে ব্যাপকভাবে গৃহীত হয় এবং মুনাফার পরিমাণ বাড়তে থাকে।

৪. পূর্ণতা (Maturity)

এ স্তরে এসে পণ্যের প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেতে থাকে এবং অতিরিক্ত বাজারজাতকরণ ব্যয় হয়।

৫. পতন বা বিলুপ্তি (Decline)

এ স্তরে এসে মুনাফা ও বিক্রয় হ্রাস পেতে থাকে এবং শূণ্য অবস্থার দিকে ধাবিত হতে থাকে।

 

নতুন পণ্য উন্নয়নের ১ম পদক্ষেপ- ধারণা সৃষ্টি
নতুন পণ্য উন্নয়নের শেষ পদক্ষেপ- বাণিজ্যীকীকরণ
পণ্যের জীবন চক্রের প্রথম ধাপ- পণ্য উন্নয়ন
পণ্যের জীবন চক্রের শেষ ধাপ- বিলুপ্তি

 

পণ্যের জীবন চক্রের বৈশিষ্ট্য :

 

বৈশিষ্ট্য

সূচনা স্তর

প্রবৃদ্ধি স্তর

পূর্ণতা স্তর

পতন স্তর

বিক্রয়

নিম্ন বিক্রয়

দ্রুত ক্রমবর্ধমান বিক্রয়

সর্বোচ্চ বিক্রয়

হ্রাসমান বিক্রয়

খরচ

ক্রেতা প্রতি উচ্চ খরচ

ক্রেতা প্রতি মোটামুটি খরচ

ক্রেতা প্রতি নিম্ন খরচ

ক্রেতা প্রতি নিম্ন খরচ

মুনাফা

ঋণাত্মক

ক্রমবর্ধমান মুনাফা

উচ্চ মুনাফা

পতনশীল মুনাফা

প্রতিযোগী

নগণ্য সংখ্যক

ক্রমবর্ধমান সংখ্যক

কমতে শুরু করে

ক্রমহ্রাসমান

 

সেবা
সেবা বলতে এমন কার্যাক্রমকে বোঝায় যা অদৃশ্যমান, অস্পর্শনীয় এবং গ্রাহকের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য লেনদেনে প্রধান লক্ষ্য বস্তু অর্পিত হয় কিন্তু মালিকানা স্বত্ব সৃষ্টি করে না।

 

সেবার বৈশিষ্ট্য
১. অস্পর্শনীয়তা (Intangibility)
২. অবিচ্ছেদ্য (Inseparability)
৩. বৈসাদৃশ্যতা (Heterogeneity)
৪. নশ্বরতা (Perishability)

 

বাজারজাতকরণ প্রসার
বাজারজাতকরণ প্রসারের প্রধান হাতিয়ার বা উপাদান- ৫টি। যথা :
১. বিজ্ঞাপন
২. ব্যক্তিক বিক্রয়
৩. বিক্রয় প্রসার
৪. গণসংযোগ
৫. সরাসরি বাজারজাতকরণ

 

বিজ্ঞাপন

 

বিজ্ঞাপনের মাধ্যম :

 

সনাতন মাধ্যম

আধুনিক মাধ্যম

সর্বাধুনিক মাধ্যম

১. সংবাদপত্র (প্রাচীন)
২. সাময়িকী
৩. প্রচারপত্র
৪. প্রাচীরপত্র
৫. বিজ্ঞাপনী ফলক

১. রেডিও
২. টেলিভিশন
৩. সিনেমা স্লাইড
৪. নিয়ন আলো
৫. আকাশ বিজ্ঞাপন (সর্বাধিক ব্যয়বহুল)
৬. গাড়ি বিজ্ঞাপন, ইত্যাদি

১. অনলাইন বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপনের সবচেয়ে প্রাচীন মাধ্যম- সংবাদপত্র
বিজ্ঞাপনের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মাধ্যম- আকাম বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপনের সর্বাধুনিক মাধ্যম- অনলাইন বিজ্ঞাপন

 

ব্যক্তিক বিক্রয়
যে বিশেষ কৌশল বা প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিক্রেতা তার দোকান বা পণ্য সেবা সামগ্রী সম্পর্কে ক্রেতার মনে প্রভাব সৃষ্টি ও আস্থা অর্জন করে স্থায়ী গ্রাহকে পরিণত করতে সক্ষম হয় তাকে বলা হয়- বিক্রয়িকতা

 

বিক্রয় প্রসার
অনিয়মিত প্রক্রিয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য কোন নির্দিষ্ট পণ্য সম্পর্কে ভোক্তা বা ব্যবহারকারীকে অবহিত ও প্ররোচিত করার মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধি ও ডিলারের কার্যাকারিতা বৃদ্ধি করাকে বলা হয়- বিক্রয় প্রসার
বিক্রয় প্রসার ২ ভাবে হতে পারে। যথা :
১. ভোক্তা বিক্রয় প্রসার : ৩ ভাবে হতে পারে-
ক. নতুন পণ্য উপস্থাপন- নমুনা পণ্য বিতরণ
খ. প্রতিযোগিতা মোকাবেলা- মূল্য হ্রাস, বিক্রয়োত্তর সেবা
গ. অনুকূল মনোভাব সৃষ্টি- উপহার প্রদান, লটারি
২. ব্যবসায়িক বিক্রয় প্রসার : ৩ ভাবে হতে পারে-
ক. উৎসাহ দান- ব্যবসায়িক ছাড়
খ. অধিক পণ্য ক্রয় বিক্রয়- বিনামূল্যে প্রদান
গ. মধ্যস্থ ব্যবসায়ীদের কার্যাক্রম পরিচালনায় সহায়তা- প্রশিক্ষণ তথ্য প্রদান

 

গণসংযোগের মাধ্যমসমূহ
১. পৃষ্ঠপোষকতা (Sponsorship)
২. প্রেস রিলিজ
৩. সামাজিক কর্মকাণ্ড
৪. প্রচারণা
৫. কর্পোরেট ইমেজ
৬. কোম্পানির প্রকাশনা

 

বাজারজাতকরণ প্রসারে ব্যবহৃত মাধ্যমসমূহ

বাজারজাতকরণ প্রসারে ব্যবহৃত মাধ্যমসমূহ

 

বণ্টন প্রণালী
ভোগ্য পণ্য-এর বণ্টন প্রণালী :
১. উৎপাদনকারী→ চূড়ান্ত ভোক্তা
২. উৎপাদনকারী→ খুচরা ব্যবসায়ী→ চূড়ান্ত ভোক্তা
৩. উৎপাদনকারী→ পাইকার→ খুচরা ব্যবসায়ী→ চূড়ান্ত ভোক্তা

 

শিল্প পণ্য-এর বণ্টন প্রণালী :
১. উৎপাদনকারী→ শিল্পের ক্রেতা
২. উৎপাদনকারী→ বণ্টনকারী→ শিল্পের ক্রেতা
৩. উৎপাদনকারী→ প্রতিনিধি→ বণ্টনকারী→ শিল্পের ক্রেতা
৪. উৎপাদনকারী→ ফড়িয়া→ পরবর্তী উৎপাদক (শিল্পের ক্রেতা)→ পাইকার→ খুচরা ব্যবসায়ী→ চূড়ান্তা

ভোক্তা

 

পণ্য বণ্টন প্রণালী নির্ধারণে বিবেচ্য বিষয়সমূহ :
১. বাজার বিবেচনা :
বাজারের প্রকৃতি
বাজারের ভৌগোলিক অবস্থা
সম্ভাব্য ক্রেতা
ফরমায়েশের পরিমাণ

 

২. পণ্য সম্পর্কীয় বিবেচনা :
প্রতি এককের মূল্য
পণ্যের ওজন
পঁচনশীলতা
দ্রব্যের কারিগরি

 

বণ্টন প্রণালীতে সর্বপ্রথম অবস্থান করে- উৎপাদক
বণ্টন প্রণালীতে সর্বশেষ অবস্থান করে- ভোক্তা

মধ্যস্থ ব্যবসায়ীকে প্রধানত- ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা :
১. বণিক মধ্যস্থ ব্যবসায়ী
২. প্রতিনিধি মধ্যস্থ ব্যবসায়ী
৩. কারযভিত্তিক মধ্যস্থ ব্যবসায়ী
বণিক মধ্যস্থ ব্যবসায়ী ২ প্রকার-
১. পাইকারি
২. খুচরা

বিভিন্ন ধরনের পাইকার-
১. র‌্যাক জবার
২. সাধারণ পাইকার
৩. বিশেষ পাইকার
৪. শিল্পপণ্য বণ্টনকারী
৫. আংশিক পাইকার
৬. জাতীয় পাইকার
৭. আঞ্চলিক পাইকার
৮. স্থানীয় পাইকার

 

খুচরা ব্যবসায় প্রধানত- ২ প্রকার। যথা :
১. ভ্রাম্যমাণ খুচরা ব্যবসায়
২. স্থায়ী খুচরা ব্যবসায়

 

স্থায়ী খুচরা ব্যবসায় ২ প্রকার-
১. ক্ষুদ্রায়তন খুচরা ব্যবসায় (মুদি দোকান, মনিহারি দোকান)
২. বৃহদায়তন খুচরা ব্যবসায় (বিভাগীয় বিপণী, বহুশাখা বিপণী)

 

মধ্যস্থ ব্যবসায়ীর প্রকারভেদ :

 

মধ্যস্থ ব্যবসায়ীর প্রকারভেদ

 

বিভাগীয় বিপণী

বিভাগীয় বিপণীর ক্ষেত্রে- একই দালানে অবস্থিত একই মালিকানা ও পরিচালনায় বিভিন্ন ধরনের পণ্য পৃথক বিভাগে সাজিয়ে বিক্রয় করা হয়।
বিভাগীয় বিপণীর ক্ষেত্রে- ক্রয় বিকেন্দ্রীভূত, বিক্রয় কেন্দ্রীভূত
বিশ্বের প্রথম বিভাগীয় বিপণী- France-এ প্রতিষ্ঠিত হয়
উদাহরণ-
Lord & Taylor- New York
নন্দন, মীনাবাজার- ঢাকা

 

বহুশাখা বিপণী
উৎপাদনকারীর নিজস্ব উৎপাদিত একজাতীয় পণ্য বিভিন্ন মালিকানাধীন শাখা দোকানের মাধ্যমে বিক্রয় করা হলে তাকে বলা হয়- বহুশাখা বিপণী
বহুশাখা বিপণীর ক্ষেত্রে- ক্রয়/উৎপাদন কেন্দ্রীভূত এবং বিক্রয় বিকেন্দ্রীভূত
উদহারণ- Bata, Singer, Rangs

 

বিপণীমালা :
একই মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন শাখা দোকানের মাধ্যমে এক বা একাধিক পণ্যদ্রব্য বিক্রয়ে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সমষ্টিকে বলা হয়- বিপণীমালা
বিপণীমালার ক্ষেত্রে- ক্রয় কেন্দ্রীভূত/বিকেন্দ্রীভূত এবং বিক্রয় বিকেন্দ্রীভূত
বিপণীমালা ও বহুশাখা বিপণীর মূল পার্থক্য- বিপণীমালার মালিক পণ্য উৎপাদন না করে পাইকার ও উৎপাদকের নিকট হতে পণ্যদ্রব্য সংগ্রহ করে
উদাহরণ-
Wool Worth- London (সারা বিশ্বে প্রায় ২০০০ শাখা)
S. Toch Chambers- কলকাতা

 

অধিবিপণী :
যে বৃহদায়তন খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হতে ভোক্তাগণ তাদের উদ্দেশ্যে রক্ষিত বিভিন্ন র‌্যাক হতে চাহিদা ও পছন্দমত পণ্যদ্রব্য সংগ্রহ ও বিক্রয় কর্মীর সাহায্য ব্যতীত ক্রয় করতে পারে তাকে বলা হয়- অধিবিপণী
অধিবিপণীর ক্ষেত্রে- ক্রয় বিকেন্দ্রীভূত এবং বিক্রয় কেন্দ্রীভূত
অধিবিপণী প্রথম দেখা যায়- আমেরিকায়, ১৯৩০ সালে

 

প্রত্যেক দেশই তার নিজস্ব বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষার জন্য অন্য দেশে নিয়োগ করে- বাণিজ্যিক দূত (Consulor)
ভবিষ্যতে বাজারে মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশায় যেসব ব্যবসায়ী বর্তমান বাজারে পণ্য কিনে রাখে তাদেরকে বলা হয়- Speculator

 

 

বিভাগীয় বিপণী, বহুশাখা বিপণী, বিপণীমালা ও অধিবিপণীর কিছু পার্থক্য :

 

 

ক্রয়

বিক্রয়

পণ্য

মালিকানা

বিভাগীয় বিপণী

বিকেন্দ্রীভূত

কেন্দ্রীভূত

একাধিক পণ্য

এক মালিকানায় একটি দোকান

বহুশাখা বিপণী

কেন্দ্রীভূত

বিকেন্দ্রীভূত

উৎপাদিত এক জাতীয় পণ্য

বিভিন্ন মালিকানাধীন বিভিন্ন শাখা দোকান

বিপণীমালা

কেন্দ্রীভূত/
বিকেন্দ্রীভূত

বিকেন্দ্রীভূত

এক বা একাধিক পণ্য

এক মালিকানায় বিভিন্ন শাখা দোকান

অধিবিপণী

বিকেন্দ্রীভূত

কেন্দ্রীভূত

একাধিক পণ্য

এক মালিকানায় একটি দোকান