প্রারম্ভিক আলোচনা: অধ্যায়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেকটুকু অংশ বেশিরভাগ সময়েই প্রশ্ন করার সময় এড়িয়ে যাওয়া হয়। প্রশ্ন আসার সম্ভাব্য অংশ স্থান হতে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরা হল।

 

অধ্যায় সারবস্তু:

 

১. শুক্রাণু মাথা অ্যাক্রোসোমাল টুপি দিয়ে আবৃত।

 

২. শুক্রাণুর মধ্যখণ্ড মাইটোকন্ড্রিয়া সমৃদ্ধ অংশ যা জরায়ুর অভ্যন্তরে সাঁতরানোর শক্তি যোগায়।

 

৩. শুক্রাণু প্রতি সেকেন্ডে ১-৪ মিলিমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে।

 

৪. ডিম্বাণু ঝিল্লী জোনা পেলুসিড বা জোনা রেডিয়াটা ডিমে পুষ্টির যোগান দেয়।

 

৫. মানুষের ডিম্বাণুতে কুসুমের পরিমাণ অতি নগন্য।

 

৬. ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াস সাধারণ নিউক্লিয়াস অপেক্ষা দু-তিনশ’ (২০০-৩০০) গুণ বড়।

 

৭. টেস্টোস্টেরন হরমোন পুরুষের বয়ঃপ্রাপ্তিতে কাজ করে এবং প্রোজেস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন নারীদের বয়ঃপ্রাপ্তিতে কাজ করে।

 

৮. নারীর বয়ঃসন্ধির পর থেকে রজঃনিবৃত্তিকাল পর্যন্ত গড়ে প্রতি ২৯ দিন পর পর রজঃচক্র ঘটে।

 

৯. ডিম্বাণু ফেলোপিয়ান নালীতে প্রবেশ করে ৬-৭ ঘণ্টা অবস্থান করে। এর মধ্যে নিষেক না হলে ডিম্বাণুটি বিনষ্ট হয়। শুক্রাণুর নিষেক ক্ষমতা ৪৯ ঘণ্টা ধরে থাকে।

 

১০. গর্ভাবস্থার স্থায়িত্ব মোটামুটি ২৮০ ± ৭ দিন। প্রায় ৯ মাস ১০ দিন (৯ x ৩০= ২৭০+১০ দিন)

 

১১. ১৬৫৯ সালে উইলিয়াম হার্ভে সর্বপ্রথম অমরা আবিষ্কার করেন। পূর্ণাঙ্গ অমরা একমাত্র স্তন্যপায়ীতেই দেখতে পাওয়া যায়।

 

১২. অমরা চার ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে। দু’টি হল প্রোটিন হরমোন – লুটিওট্রপিন ও ল্যাকটোজেন হরমোন; অন্য দু’টি স্টেরয়েড হরমোন – প্রোজেস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন। এছাড়াও অমরা রিলাক্সিন হরমোন ক্ষরণ করে।

 

১৩. মানবভ্রূণের ভ্রূণ আবরণীগুলো হচ্ছে:

·         অ্যামনিওন

·         কুসুমথলি

·         অ্যালানটয়েস

·         কোরিওন (সবচেয়ে বাইরের ঝিল্লী)

 

১৪. জাইগোট সৃষ্টির পরবর্তী অবস্থাকে ফিটাস বলে। জরায়ুতে ফিটাস ৩৮ সপ্তাহ অবস্থান করে। জন্মের পর ফুসফুসের কাজ শুরু করা মাত্র ফিটাসের নতুন নাম হয় “শিশু”।

 

১৫. মায়ের স্তনের লোবিউল কোষে দুধ উৎপন্ন হয়।